ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান পদ্ধতি

faiha news👍

২১ মার্চ, ২০২৫

আপনি কি জানেন ই পর্চা খতিয়ান কি? বর্তমান যুগে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারে।আপনি যদি ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য সঠিক জায়গা।

এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন ই পর্চা ব্যবহারের নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা। জমি সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য এখন অনলাইন থেকে পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
জমির খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে বের করতে কি কি লাগবে
জমির দাগ নাম্বার এর মাধ্যমে খতিয়ান বের করার পদ্ধতি
আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম
বি আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার পদ্ধতি
নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান কি ভাবে করবো
সার্ভে খতিয়ান কিভাবে অনুসন্ধান করবো
ই খতিয়ান ডাউনলোড করার পদ্ধতি
ই পর্চা খতিয়ানের সুবিধা
শেষ কথাঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান হল একটি প্রক্রিয়া যা অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। ফলে আমরা ঘরে বসে খুব সহজে পর্চা বা খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে পেতে পারি। জমির খতিয়ান বা পর্চা এটি একটি সরকারি দলের যা ভূমির মালিকের নামে থাকে। এই পর্চা থেকে জানতে পারি মালিকের নাম, তার পিতার নাম , বর্তমান ঠিকানা , জমির পরিমাণ , দাগ নাম্বার , খাজনা পরিমাণ এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট

আর এই পর্চা মূলত জমির মালিকের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় । যার ফলে অন্য কেউ তার জমি নিজের বলে দাবি করতে পারে না। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে আমরা জমির এই সকল তথ্য ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। কারণ আগে মানুষ ভূমি অফিসে যে জমির খতিয়ান নিয়ে আসতো কিন্তু এখন তা সহজেই ঘরে বসে পাওয়া যায়। আপনি যদি জমির খতিয়ান বা পর্চা কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ডাউনলোড করবেন তা জানতে চান তাহলে আজকের এই আজকের টি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

জমির খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে বের করতে কি কি লাগবে

বর্তমানে আমরা যেহেতু ঘরে বসে জমির খতিয়ান বের করতে চাই, তাই আমাদের প্রথমে জমির সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। যেমনঃ জমিটি কোথায় অবস্থিত, কোন বিভাগ, কোন জেলা , কোন থানা , কোন উপজেলা , জমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত এছাড়াও অন্যান্য আরো তথ্য । এই সকল তথ্যের পাশাপাশি আরো যে সকল তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন তা হল জমির মালিকের নাম, জমির খতিয়ান নাম্বার , জমির দাগ নাম্বার ইত্যাদি সকল বিষয় সম্পর্কে সঠিক একটি ধারনা থাকলে আপনি অনলাইনে খুব সহজেই জমির খতিয়ান খুঁজে বের করতে পারবেন। নিচে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হলো https://eporcha.gov.bd/

প্রথমে ফোন অথবা কম্পিউটার থেকে যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে ই পর্চা লিখে সার্চ দিলে আপনার সামনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই ওয়েবসাইটটি আসবে। এরপর এখানে যে সকল তথ্যগুলো আপনার কাছে চাইবে সেই সকল তথ্যগুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনি সহজেই জমির খতিয়ান বা পর্চা ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি যদি জমির খতিয়ান নাম্বার না জানেন তাহলে আপনি চাইলে জমির দাগ নাম্বার অথবা জমির মালিকের নাম লিখে সার্চ দিলে তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। সকল প্রকার নিয়ম পূরণ করার পর আপনি জমির খতিয়ান ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট আউট করে বের করতে পারবেন।

জমির দাগ নাম্বার এর মাধ্যমে খতিয়ান বের করার পদ্ধতি

জমির খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে বের করার সময় আমাদের অনেক ধরনের তথ্য দিতে হয়। তখন আপনি যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জেনে থাকেন অথবা কোন তথ্য যদি আপনি ভুলে যান তো সেই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে জমির দাগ নাম্বার ব্যবহার করে সেই জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি জমির দাগ নাম্বার ও না জানেন তো সে ক্ষেত্রে চিন্তার কোন বিষয় নাই। আপনি যে স্থানের জমির দাগ নাম্বার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেখানে স্থানীয় মোহরির কাছ থেকে সেই জমির দাগ নাম্বার সহজেই জানতে পারবেন।

এরপর আপনি সেই জমির দাগ নাম্বার দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই জমির খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেকটাই ও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। যার ফলে আমরা এখন ঘরে বসে সহজে কোন জমির দাগ নাম্বার দিয়েই তার খতিয়ান নাম্বার বের করতে পারি। অনলাইনের মাধ্যমে আমরা এই সকল জমির কাজ সমূহ স্মার্টলি করতে পারি।

আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম

অনলাইনে জমির খতিয়ান বের করতে চাইলে আমরা সেখানে আর এস খতিয়ান সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারি। আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে আমাদের প্রথমে যেকোনো ব্রাউজার থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যে ওয়েবসাইটটি আছে সেটি সার্চ দিতে হবে। তারপর সেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে সেখান থেকে" সার্ভে খতিয়ান" অপশনে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে যে সকল তথ্য সমূহ দেওয়া আছে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। সেখানে যে সকল তথ্য সমূহ পূরণ করতে হবে তা হলঃ

বিভাগের নাম
জেলার নাম
উপজেলা অথবা থানার নাম
খতিয়ানের ধরন

এই সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আপনার তথ্যগুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তীতে আরএস খতিয়ানের অপশনে নিয়ে যাবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আপনার তথ্যগুলো সাথে কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে যে সকল তথ্য দেওয়া আছে সেগুলার মিল নেই। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে সরাসরি ভূমি অফিসে যে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন যা আপনাকে জমির খতিয়ান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিবে ।

বি আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করার পদ্ধতি

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করতে চাইলে আমাদের অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। সেই সকল বিষয় আমাদের জমির সম্পর্কের সঠিক তথ্য দিতে সাহায্য করবে ।এই আর্টিকেল এর শুরুর দিকে আমরা যেমন আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করেছি ঠিক সেই ভাবেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সার্ভে খতিয়ান অপশন এর তথ্যগুলো পূরণ করার মাধ্যমে বি আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। এই বি আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে সার্ভে খতিয়ানের প্রথমে যে সকল তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে তা হলঃ বিভাগের নাম , জেলার নাম , থানা অথবা উপজেলার নাম তারপর আপনি বি আর এস খতিয়ান এই অপশনটি পূরণ করতে পারবেন।

আপনি যে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাচ্ছেন সেই জমির মালিকের নাম, তার পিতা-মাতা বা দাদা-দাদী নামের কোন রেকর্ড যদি পরিবর্তন বা সংশোধন করা হয় সেক্ষেত্রে বিআরএস অপশেনে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আপনার সকল প্রকার তথ্য যদি সঠিক থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি জমির খতিয়ান সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি যদি সেই জমির সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে ১০০ টাকা পরিশোধ করে তা গ্রহণ করতে হবে ।

নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করবো

অনলাইনের মাধ্যমে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়। বর্তমানে আমরা এই সকল কাজ সমূহ ঘরে বসে খুব সহজেই করতে পারে। দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা খুব সহজ হয়ে উঠেছে । যার কারনে আমরা বেশিরভাগ মানুষই ঘরে বসে একাই অনেক কাজ করতে পারি। নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আমাদের প্রথমে যা করতে হবে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সর্বপ্রথম আমাদের যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটি সার্চ দিতে হবে তারপর সেখান থেকে নামজারি খতিয়ান অপশনটি ক্লিক করতে হবে। এই অপশনে ক্লিক করার পর আমাদের কয়েকটি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যে সকল তথ্য সমূহ পূরণ করতে হবে তা হলোঃ বিভাগের নাম, জেলার নাম , উপজেলা অথবা থানার নাম , মৌজার নাম এবং সবশেষে খতিয়ানের তালিকা টি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আপনার তথ্যসমূহ যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে জমির খতিয়ান এর সকল তথ্য সমূহ সহজেই দেখতে পাবেন।

আরও পড়ুন: সোনালি ব্যাংক এ কিভাবে একাউন্ট খুলবো

সার্ভে খতিয়ান কিভাবে অনুসন্ধান করব

বর্তমান সময়ে আমরা যেহেতু ঘরে বসে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাই সেজন্য আমাদের যা করতে হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো । ই পর্চা খতিয়ান মূলত অনলাইন এর মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হয়ে থাকে। আর যারা সাধারণত অনলাইনে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করে থাকে তারা সার্ভে খতিয়ান সম্পর্কে জেনে থাকে । অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি জমির খতিয়ান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে সার্ভে খতিয়ানের সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কারণ আপনি যদি সার্ভে খতিয়ানের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ না করেন তাহলে আপনি সেই জমির খতিয়ান সম্পর্কে অনলাইনে কোন তথ্য খুঁজে পাবেন না । সার্ভে খতিয়ানে যে সকল তথ্য সমূহ পূরণ করতে হবে তা হলঃ

সেই জমিটি কোন জায়গায় অবস্থিত
জমিটি কোন বিভাগের মধ্যে পড়ে
ওই জমিতে কোন জেলার অন্তর্ভুক্ত
তারপর সেটি কোন উপজেলা অথবা থানার আওতাভুক্ত
তারপর খতিয়ানের ধরন কেমন
জমিটি কোন মৌজার অন্তর্ভুক্ত
সবশেষে খতিয়ানের তালিকা দেওয়া আছে

আপনি যদি এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই জমির মালিকের নামও জানতে পারবেন । কারন আপনি যদি সার্ভে খতিয়ানের মৌজা এই অপশনটি পূরণ করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে যে অপশনটি রয়েছে খতিয়ানের তালিকা সেখানে আপনি মালিকের নাম দেখতে পারবেন । যার ফলে আপনি সহজেই জানতে পারবেন যে এই জমিটি কার নামে সরকারি ভাবে দলিল করা আছে । যা আপনাকে জমি কেনা বেচা অথবা জমির যাবতীয় সকল কাজকর্ম সঠিকভাবে করতে সাহায্য করবে ।

ই খতিয়ান ডাউনলোড করার পদ্ধতি

জমির খতিয়ানের কাগজ হাতে পাওয়ার জন্য আমরা আগে ভূমি অফিসে যে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে তারপর সেই জমির সার্টিফাইড কপি হাতে পেতাম। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যুগ হওয়াতে এবং প্রযুক্তি দিন দিন উন্নতি হওয়ার ফলে আমরা এখন ঘরে বসেই কোন জমির খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সহজেই ডাউনলোড করতে পারি। যার কারনে এখন আমাদের আর কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে জমির খতিয়ানের কাগজ আনতে হয় না। ই পর্চা খতিয়ান কিভাবে সহজে ডাউনলোড করতে পারি সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত করা হলো।

সর্বপ্রথম আমাদের যে কোন ফোন অথবা ল্যাপটপের থেকে যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সার্চ দিতে হবে। সার্চ দেওয়ার পর সর্বপ্রথম যে ওয়েবসাইটটি আসবে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট। সেই ওয়েব সাইটে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে আপনি যদি জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করে তা ডাউনলোড করে নিজের কাছে রাখতে চান তাহলে আপনি সেটি সহজেই প্রিন্ট করে বের করতে পারবেন । কিন্তু এই কাগজটি সার্টিফাইড কপি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না কারণ আপনি যদি কোন জমির সার্টিফাইড কপি ডাউনলোড করতে চান সেজন্য আপনাকে অবশ্যই" খতিয়ান আবেদন" এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর এখানে যেই সকল তথ্য সমূহ দেওয়া থাকবে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

আর তথ্য সমূহ যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি জমির খতিয়ানের সার্টিফিকেট কপিটি দেখতে পারবেন। আর যদি আপনার কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি জমির খতিয়ান এর কোন কাগজ দেখতে পাবেন না। তাই আপনাকে অবশ্যই সঠিক তথ্যসমূহ দিতে হবে । আর এই সার্টিফাইড কপিটি হাতে পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যসমূহ সঠিকভাবে দিতে হবে, মোবাইল ভেরিফিকেশন ও পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে। তাহলে আপনি সেই জমির ই খতিয়ান কপিটি হাতে পাবেন।

আরও পড়ুনঃ হলুদ দিয়ে কিভাবে ত্বক সুন্দর করা যায়

ই পর্চা খতিয়ানের সুবিধা

বর্তমান সময়ে আমাদের বেশিরভাগ কাজ সমূহ আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকি। ফলে আমাদের অনেক সময় বেঁচে যায়। এবং আমরা একই সময়ে অনেক কাজ একাই সম্পন্ন করতে পারি। কারণ আমরা যদি কোন জমির খতিয়ান সম্পর্কে জানতে চাই এবং সেই কাগজটি আমাদের কাছে রাখতে চাই তাহলে আমাদের ভূমি অফিসে যে সেখান থেকে কাগজটি আনতে হতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে যুগের পরিবর্তনের সাথে আমাদের জীবনধারাও পরিবর্তিত হয়েছে । হলে আমরা সহজেই জমির কাগজ নিজেদের কাছে ডাউনলোড করে রাখতে পারি। আবার অনেক সময় এমন হতো যে সেই জমির খতিয়ানের কাগজ তোলার জন্য আমাদের অনেক সময় এবং টাকা খরচ হতো । কিন্তু এখন সেই সময় এবং সেই পরিমাণ টাকা খরচ হয় না ।

আমরা চাইলে এখন ঘরে বসে সেই কাগজ সহজেই পেতে পারি । এছাড়াও আমাদের যদি কোন প্রয়োজনে সেই জমির খতিয়ানের নকল কাগজ প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সহজে অনলাইনের মাধ্যমে তা বের করতে পারবো । কারণ অনেক সময় আমাদের জমির আসল দলিল নষ্ট কিংবা হারিয়ে যেতে পারে । তখন যদি সে জমির খতিয়ানের কাগজ প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা কিন্তু সাথে সাথে সেই আসল দলিল বের নাও করতে পারি । কারণ এটি একটি সাপেক্ষ ব্যাপার । যার কারণে আমরা চাইলে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে এই খতিয়ানের নকল একটি কাগজ বের করতে পারব ।

এছাড়াও আমরা সেই জমির মালিকের সম্পর্কে জানতে পারবো , জমিতে দাগ নাম্বার কত , খতিয়ান নাম্বার কত , এটি কোন মৌজায় অবস্থিত এ সকল বিস্তারিত তথ্যসমূহ সহজেই আমরা পেতে পারি । যার কারণে ই পর্চা খতিয়ান আমাদের অনেক সাহায্য করে থাকে । ই পর্চা খতিয়ানের ফলে আমরা যে কোন জমির খতিয়ান সম্পর্কে এবং সেই জমির মালিক সম্পর্কে সহজেই ধারণা পেয়ে থাকে । যা আমাদের কেনা -বেচার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়ে থাকে । এবং এই সম্পর্কে যদি কোন পরিবর্তন করতে হয় তাও আমরা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে করতে পারব ।

শেষ কথাঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

আজকের এই আর্টিকেল এ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল । কারণ এই আর্টিকেল এ আমরা জমির খতিয়ান ,জমির অবস্থান ,জমির সার্টিফাইড কপি কি ভাবে বের করবেন এছাড়া আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।কারন যারা এই জমির খতিয়ান বের করতে চাচ্ছে এবং যারা জানে না যে কিভাবে অনলাইন এর মাধ্যমে এই জমির খতিয়ান বের করতে হয়। আমি মনে করি আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুব উপকারি এবং তাদের কাজে আসবে ।

এছাড়া যদি জমির বিষয়ে অন্য কোন কাগজ পত্র প্রয়োজন হয় সে ক্ষেতে আপনি চাইলে ভূমি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন । কারন বর্তমান সময়ে অনেক খারাপ মানুষ আসে যারা আপনকে নকল কাগজ দিয়ে আপনার সাথে প্রতারণা করবে । এজন্য যে কোন জমি কিনতে হলে বা বেচতে হলে জমির দলিল ভাল ভাবে দেখে ও পড়ে নিবেন । কারন দলিলে কোন সমস্যা হলে পরবর্তীতে আপনি আপনার জমি হারাতে পারেন ।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে ।আর এই রকম কোন দরকারি বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল এর নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানান ।এটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আর এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।